- পেশাদার ড্রাইভিং লাইসেন্স-এর জন্য বয়স ন্যূনতম ২০ বছর ও অপেশাদারের জন্য ন্যূনতম ১৮ বছর হতে হবে
ড্রাইভিং লাইসেন্স পাওয়ার জন্য প্রয়োজন প্রশিক্ষণ ও দরকারি কিছু কাগজপত্র। ড্রাইভিং লাইসেন্স সঙ্গে থাকলে চালক রাস্তার ট্রাফিক সংকেতগুলো সম্পর্কে জানেন ও মানেন বলে ধরে নেওয়া হয়। কারণ লাইসেন্স দেওয়ার আগে বিআরটিএ তিনস্তরের পরীক্ষার মাধ্যমে লাইসেন্স প্রদান করে।
এক প্রতিবেদনে ড্রাইভিং লাইসেন্স পাওয়ার পদ্ধতিগুলো তুলে ধরেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের অনলাইন পোর্টাল ডিএমপি নিউজ।
ডিএমপি নিউজের প্রতিবেদনে বলা হয়, ড্রাইভিং লাইসেন্সের পূর্বশর্ত হলো লার্নার বা শিক্ষানবিশ ড্রাইভিং লাইসেন্স। গ্রাহককে প্রথমে লার্নার বা শিক্ষানবিশ ড্রাইভিং লাইসেন্স-এর জন্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্রসহ আবেদন করতে হবে। গ্রাহককে তার স্থায়ী ঠিকানা বা বর্তমান ঠিকানা (প্রয়োজনীয় প্রমাণসহ) বিআরটিএ’র যে সার্কেলের আওতাভুক্ত তাকে সেই সার্কেল অফিসে আবেদন করতে হবে। সার্কেল অফিস কর্তৃপক্ষ তাকে একটি শিক্ষানবিশ বা লার্নার ড্রাইভিং লাইসেন্স দেবে যা দিয়ে আবেদনকারী ড্রাইভিং প্রশিক্ষণ নিতে পারবেন। ২-৩ মাস প্রশিক্ষণের পর তাকে নির্ধারিত তারিখ ও সময়ে নির্দিষ্ট কেন্দ্রে লিখিত, মৌখিক ও ফিল্ড টেস্টে অংশ নিতে হবে। এসময় প্রার্থীকে তার লার্নার বা শিক্ষানবিশ ড্রাইভিং লাইসেন্স (মূল কপি) ও লিখিত পরীক্ষায় অংশগ্রহণের জন্য কলম সাথে আনতে হবে। পেশাদার ড্রাইভিং লাইসেন্স-এর জন্য বয়স ন্যূনতম ২০ বছর ও অপেশাদারের জন্য ন্যূনতম ১৮ বছর হতে হবে।
শিক্ষানবিশ ড্রাইভিং লাইসেন্স সংগ্রহ
ড্রাইভিং লাইসেন্সের পূর্বশর্ত হলো লার্নার বা শিক্ষানবিশ ড্রাইভিং লাইসেন্স। লার্নার্স পারমিট হলো শিক্ষানবিশ চালকের অনুমতিপত্র। গাড়ি চালানো শেখার আগেই এই লাইসেন্সটি সংগ্রহ করতে হবে। একইসঙ্গে মোটরসাইকেল ও হালকা যানবাহন চালানোর লাইসেন্স নিয়ে নেওয়াটাই বুদ্ধিমানের কাজ। এজন্য ফর্মের নির্ধারিত অংশে দু’টি “টিক” চিহ্ন দিলেই হবে.
লার্নার বা শিক্ষানবিশ ড্রাইভিং লাইসেন্স-এর জন্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্র
– নির্ধারিত ফরমে আবেদন
– রেজিস্টার্ড চিকিৎসকের দেওয়া মেডিকেল সার্টিফিকেট
– ন্যাশনাল আইডি কার্ড অথবা জন্ম সনদ অথবা পাসপোর্টের সত্যায়িত ফটোকপি
– নির্ধারিত ফি, একটি ক্যাটাগরির জন্য ৩৪৫ টাকা ও দু’টি ক্যাটাগরির জন্য ৫১৮ টাকা বিআরটিএ’র নির্ধারিত ব্যাংকে (ব্যাংক এর তালিকা www.brta.gov.bd ওয়েবসাইটে পাওয়া যাবে) জমা দেওয়ার রশিদ।
– সদ্য তোলা ৩ কপি স্ট্যাম্প ও ১ কপি পাসপোর্ট সাইজ ছবি।
লিখিত, মৌখিক ও ফিল্ড টেস্ট পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হওয়ার পর পুনরায় একটি নির্ধারিত ফরমে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র ও ফি দিয়ে স্মার্টকার্ড ড্রাইভিং লাইসেন্সের জন্য সংশিষ্ট সার্কেল অফিসে আবেদন করতে হবে। গ্রাহকের বায়োমেট্রিক ডাটা (ডিজিটাল ছবি, ডিজিটাল স্বাক্ষর ও আঙুলের ছাপ) গ্রহণের পর স্মার্টকার্ড ইস্যু করা হয়। স্মার্টকার্ড ড্রাইভিং লাইসেন্স প্রিন্ট হয়ে হলে গ্রাহককে এসএমএস এর মাধ্যমে তা নেওয়ার জন্য জানানো হয়।
স্মার্ট ড্রাইভিং লাইসেন্স-এর জন্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্র
– নির্ধারিত ফরমে আবেদন
– রেজিস্টার্ড চিকিৎসকের দেওয়া মেডিকেল সার্টিফিকেট
– ন্যাশনাল আইডি কার্ড অথবা জন্ম সনদ অথবা পাসপোর্টের সত্যায়িত ফটোকপি
– বিআরটিএ নির্ধারিত ব্যাংকে ফি জমা দেওয়ার রশিদ
– পেশাদার ড্রাইভিং লাইসেন্স-এর জন্য পুলিশি তদন্ত প্রতিবেদন
– সদ্য তোলা ১ কপি পাসপোর্ট সাইজ ছবি